রোগী না থাকায় ও নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতালটিতে আসছেন না চিকিৎসকরাও। তবে কর্তৃপক্ষের ধারণা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে।
সরকারি এ হাসপাতালটিতে বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, ল্যাবরটরি এবং অভ্যর্থনা কেন্দ্র।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোনো রোগীর আনাগোনা নেই। সেখানকার চিকিৎসকদের কক্ষগুলো তালাবদ্ধ। বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীর ভিড় থাকতো, সেখানে করোনা ভীতিতে পুরোটাই রোগীশূন্য।
তবে জরুরি বিভাগে মাঝে মধ্যে কাটাছেড়ার কিছু রোগী আসছেন, যাদের ব্যান্ডেজ ও সেলাই করে বিদায় দেয়া হচ্ছে। জরুরি বিভগে দায়িত্বরত স্টাফরাই সেলাই ও ব্যান্ডেজের কাজ সম্পন্ন করছেন।
দায়িত্বরত এক নার্স বলেন, রোগী নেই তাই এখন বাসা থেকে আসি আর যাই। এক কথায় রোগীর সেবার সময়টুকু এখন আসবাব পাহারা দিচ্ছি।
হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আবুয়াল হাসানের কক্ষটিও তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, বহির্বিভাগ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ভর্তি রোগীও ছিল, অনেকে চলে গেছেন।
জরুরি বিভাগ সবসময় খোলা আছে, চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।